সন্তানদের স্ক্রীনটাইম কমাতে তাদের সময় দিন
-বর্তমানে বাংলাদেশে অসংখ্য শিশু স্ক্রীনে অতিরিক্ত সময় কাটাচ্ছে। এতে শুধু তাদের চোখের ক্ষতিই নয়, সামগ্রিক বিকাশ ব্যাহত হয়। ব্যাপারটি উদ্বেগজনক।
-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য স্ক্রীন টাইম ও বসে থাকা কমানোসহ পর্যাপ্ত ঘুম, এবং সক্রিয় খেলায় বেশী সময় দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
-এক বছর বয়স পর্যন্ত স্ক্রীন টাইম এর (টেলিভিশন বা ভিডিও দেখা, কম্পিউটার গেম খেলা) কোন প্রয়োজন নেই। দুই থেকে চার বছর বয়সীরা দিনে সর্বোচ্চ এক ঘন্টা স্ক্রীনে সময় কাটাতে পারে, তবে কম হলে ভাল হয়। সব বয়সী শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম এবং খেলাধুলা করা প্রয়োজন।
-শিশুরা বড়দের দেখেই শেখে। মা-বাবার স্মার্টফোন আসক্তি বজায় রেখে সন্তানদের স্ক্রীনটাইম কমানো যাবে না।
-শিশুদের যখন সময় দেবেন তখন যেন তারা আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ পায়।
-শিশুদের সঙ্গে খেলা, বই পড়ে শোনানো, গল্প করাসহ নানাভাবেই আনন্দের সঙ্গে সময় কাটানো যায়।
-একবার অভ্যাস তৈরি হয়ে গেলে সেটা পরিবর্তন করা কঠিন। শুরু থেকেই শিশুদের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের পরিমিত ব্যবহার শেখান।
-নিষ্ক্রিয় স্ক্রীনটাইম শিশুদের জন্য খুব ক্ষতিকর। অল্পবয়সী শিশুদের স্ক্রীনে কিছু দেখানোর সময় তাদের সঙ্গে কথা বলুন, প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করুন। এটি তাদের বিকাশে সহায়ক।
-শিশুদের বই পড়া, খেলাধুলা, ছবি আঁকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহী করে তুলুন যাতে তারা নিজের মত করে সময় কাটাতে পারে এবং ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের উপর নির্ভরশীল না হয়।
ছবিঃ Freepik
মঙ্গল, ১০ আগ ২০২১, রাত ৩:৩১ সময়
Login & Write Comments