পৃথিবীটাকে শিশুদের বাসযোগ্য করে তোলার অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও শিশুরা ভালো নেই। বাংলাদেশে শিক্ষা এবং শিশুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হলেও সামগ্রিকভাবে সব শিশু তার সুফল পাচ্ছে না। তারা শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বাল্যবিয়ে,লেখাপড়া চালিয়ে যেতে না পারা এবং শিশুশ্রম এখনো আমাদের বাস্তবতা। আবার তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার, দ্রুত নগরায়ন, পারিবারিক কাঠামোর পরিবর্তনসহ নানা কারণে শিশুরা এখন নতুন ধরণের সম্ভাবনা এবং ঝুঁকির মুখোমুখি।
“শিশুরাই সব” উদ্যোগ বিশ্বাস করে যে, সব শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, বিনোদন এবং অংশগ্রহণের অধিকার আছে। শিশুদের ভবিষ্যত শুধু নয়, বর্তমানকে অর্থবহ করাটা বড়দের দায়িত্ব। শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে মা-বাবা, শিক্ষক, সরকারী এবং অসরকারী সংস্থা,সেবাদানকারী, মিডিয়াকর্মী, লেখক, শিল্পীসহ সমাজের প্রত্যেকে নিজস্ব অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। আইন, নীতি, অবকাঠামো, এবং সবধরণের সেবা শিশু সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন। শিশুদের চোখ দিয়ে বিভিন্ন বিষয় বিবেচণা করা এবং তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা দরকার।পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সেটা চর্চা করা উচিত।
শিশুদের প্রতি সংবেদনশীল একটি সমাজ সৃষ্টিতে সচেতনতা এবং দক্ষতা বাড়ানোই “শিশুরাই সব” এর লক্ষ্য। এই ওয়েবসাইটের সাথে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চ্যানেলগুলিও একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে।আমরা আশা করছি যে, সমাজের সবাই শিশুসংক্রান্ত বিষয়ে জানবে, আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে, এবং আন্তরিকতার সাথে নিজেদের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসবে। এর ফলে শিশুরা সঠিকভাবে এবং আনন্দের সঙ্গে বেড়ে উঠবে; বাংলাদেশ এবং বিশ্বে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারবে। ওয়েবসাইটে থাকছে:
- শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুরক্ষা, বিনোদনসহ শিশুমনস্ক সমাজ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে লেখা এবং ভিডিও।
- শিশুদের ভাবনা।
- সন্তানদের বড় করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর।
- শিশুদের জন্য সৃষ্টিশীল কর্মকান্ড সম্পর্কে পরামর্শ।
- শিশুসংক্রান্ত আইন, নীতি, সনদ এবং গবেষণামূলক রিপোর্ট।
মতামতের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে অন্যান্য বিষয় যুক্ত করা হতে পারে।