শিশুরা প্রায়ই তাদের সমবয়সী বন্ধুদের দ্বারা নিপীড়নের শিকার হয়। মা-বাবা কি এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবেন নাকি সন্তানরা নিজেদের সমস্যার সমাধান নিজেরাই করতে শিখুক এমন ভেবে এর থেকে দূরে থাকবেন?
নিপীড়ন বা “বুলিইং” এর শিকার হতে পারে যেকোনো আর্থ-সামাজিক শ্রেণীর শিশুই। যেসব শিশুরা অন্যদের তুলনায় একটু ভিন্ন তাদের এ ঝুঁকি আরও বেশি। যেমন কারও ওজন যদি খুব কম বা বেশী হয় কিংবা কথা বলতে সমস্যা অথবা অন্য কোনো জন্মগত বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে তবে সে সহপাঠী ও বন্ধুদের দ্বারা নিপীড়িত হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য কারণও থাকে- যেমন স্কুলে নতুন এসে কেউ পীড়নের মুখে পড়তে পারে।
প্রশ্ন হল, মা-বাবারা কি এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন? এর কোনো সোজা উত্তর নেই। এটি নির্ভর করে পরিস্থিতির ওপর। শিশুদের আত্মবিশ্বাসী হওয়া জরুরী। মা-বাবার উচিত সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে তারা নিজেদের ভিন্নতাকে ইতিবাচকভাবে দেখতে এবং নিপীড়নের শিকার হলে প্রতিবাদ করতে পারে। যদি তারা নিজেরাই এসব সমস্যার সমাধান করে ফেলে তবে আর মা-বাবার কিছু করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু শারীরিক বা মানসিক নিপীড়ন যদি বার বার ঘটতে থাকে এবং শিশুদের গুরুতর ক্ষতির আশংকা থাকে তবে অবশ্যই বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেমন স্কুলের প্রধানকে জানাতে হবে এবং যাতে আর না ঘটে তার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মাঝে আছে শিশুটির সাথে অন্যান্য শিশুদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করা এবং একজন শিক্ষককে চিহ্নিত করা যার কাছে শিশুটি যেকোন সমস্যার শুরুতেই যেতে পারবে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাবে।
অনেক সময় শিশুরা নেতিবাচক পরিস্থিতির শিকার হলেও মা-বাবাকে বলতে চায়না। তাই বাড়িতে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করা দরকার যাতে মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের যোগাযোগ শক্তিশালী হয় এবং তারা ভয় না পেয়ে নিজেদের কথা জানাতে পারে। এর ফলে মা-বাবাও বুঝতে পারবেন কখন তাদের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন।
রবি, ১৮ অক্টো ২০২০, রাত ৩:৪৩ সময়
Login & Write Comments