
যৌন নির্যাতন থেকে শিশুকে রক্ষা-১
শিশুরা সাধারণত কাদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়? মা-বাবা কিভাবে বুঝতে পারবেন যে শিশু নির্যাতিত হয়েছে?
অনেকেই মনে করেন, শিশুরা অপরিচিত ব্যক্তিদের দ্বারা নির্যাতিত হয় এবং শুধু মেয়ে শিশুরাই যৌন শিকার হয়। কেউ কেউ ভাবেন, দরিদ্র পরিবারের শিশুদের নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। অনেকের ধারণা শুধু পুরুষেরাই শিশুদের নিপীড়ন করে থাকেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। শিশুর পরিচিত ও অপরিচিত কেউ, এমনকি আত্মীয়রাও নিপীড়ক হতে পারে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে শিশুর পরিচিত কারো দ্বারাই নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। নারীরাও শিশুর ওপর যৌন নিপীড়ন করে থাকে। কখনো আবার অপেক্ষাকৃত বয়স্ক শিশুরা (ছেলে কিংবা মেয়ে) কম বয়স্ক শিশুদের নিপীড়ন করতে পারে। গ্রাম কিংবা শহরের যেকোনো সামাজিক অবস্থান এবং যেকোনো বয়সের শিশুরা নিপীড়নের শিকার হতে পারে। তবে প্রতিবন্ধী শিশু, কর্মজীবী শিশু, পথে বসবাসকারী শিশুসহ বেশকিছু শিশু তাদের অবস্থার কারণে বেশী ঝুঁকির মধ্যে থাকে। শিশুর প্রতি যৌন নিপীড়ন নানাভাবে ঘটতে পারে - অবাঞ্ছিত স্পর্শ থেকে শুরু করে ধর্ষণ পর্যন্ত।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিশুটি ভয় কিংবা লজ্জায় নিপীড়নের ঘটনা প্রকাশ করতে চায় না। কিন্তু মা-বাবা এবং পরিবারের সদস্যরা শিশুর মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখে তা বুঝে নিতে পারেন। যেমন- যৌন আচরণে অসঙ্গতি কিংবা পরিবর্তন, মাথা কিংবা পেটে ব্যথার কথা বলা, স্কুলে নানা সমস্যার মুখে পড়া এবং ফলাফল খারাপ হওয়া। শিশুর স্বাভাবিক আচরণও বদলে যেতে পারে। যেমন শিশুটি হয়তো খেলাধুলায় উৎসাহ হারিয়ে ফেলে এবং সমবয়সী কিংবা বয়স্কদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে নানা সমস্যায় পড়ে। শিশুর আচরণে এ ধরণের কোনো পরিবর্তন দেখা দিলে অভিভাবকের উচিত এ সম্পর্কে আরও খোঁজখবর নেওয়া, কোন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা বোঝার চেষ্টা করা।
ছবিঃ Bigstock
মঙ্গল, ১০ আগ ২০২১, দুপুর ১২:৩০ সময়
Login & Write Comments