শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সঠিক খাদ্যাভ্যাস গঠনে মা-বাবা কি করতে পারেন?

সাধারণত ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চার অভাবে অল্পবয়সীদেরদের ওজন বাড়ে যায় বা তারা স্থুল হয়ে পড়ে। বংশ বা জিনগত কারণ এবং জীবনযাপনের ধারাও শিশুর ওজনকে প্রভাবিত করে। অতিরিক্ত ওজনের শিশু, কিশোর-কিশোরীরা নানা স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিতে থাকে।

শৈশবে এবং কিশোর বয়সে বাড়তি ওজন এবং স্থুলতা প্রতিরোধের জন্য যা করবেন তা হলঃ 

-সন্তানের ওজনের উপর দৃষ্টি না দিয়ে ধীরে ধীরে খাদ্যাভাস এবং জীবনচর্চায় পরিবর্তন আনার করার জন্য কাজ করুন।

-একজন রোল মডেল হোন। বাবা-মা স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে এবং বাড়ির কাজ করলে সন্তানদেরও সেগুলি অনুসরণ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

-ছেলে মেয়েদের শারীরিক কাজকর্মে উৎসাহিত করুন। সপ্তাহে প্রায় রোজই শিশুদের কমপক্ষে  অন্তত ৬০ মিনিটের মাঝারি ধরনের  শারীরিক কাজ বা শরীরচর্চা  করতে দেয়া  উচিত।  প্রতিদিন ৬০  মিনিটের বেশি  শারীরিক কাজকর্ম বাড়তি  ওজন কমাতে  ও সঠিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। 

-টেলিভিশন এবং কম্পিউটারের সামনে সময় কাটানোর  অভ্যাসে লাগাম টানতে হবে । 

-খিদে পেলেই যেন শিশু খায় এবং খেতে বসে যেন তাড়াহুড়া  না করে সে ব্যাপারে শিশুকে  উৎসাহিত করতে হবে।

-পুরষ্কার হিসাবে খাবার দেয়া বা শাস্তি হিসাবে খাবার না দেয়ার কাজটি করবেন না।

-রেফ্রিজারেটর বা ফ্রীজে বেশি পরিমাণে চিনি এবং চর্বিযুক্ত (ফ্যাট) কোমলপানীয় এবং স্ন্যাকস না রেখে চর্বিহীন বা কমচর্বির দুধ, তাজা ফল-মূল, এবং শাক-সবজি দিয়ে ভরে রাখুন।

-প্রতিদিন অন্তত ৫ ধরণের ফলমূল ও শাক-সবজি পরিবেশন করুন।

-শিশুদের অতিরিক্ত চিনির কোমল পানীয় বা  নানা ফলের গন্ধ দেয়া পানীয়  পান করার চেয়ে নিরাপদ পানি পান করতে উৎসাহিত করুন। 

সৌজন্যেঃ জনস হপকিন্স মেডিসিন


মঙ্গল, ২২ জুন ২০২১, বিকাল ৭:৪০ সময়

মতামত/ পরামর্শ/ প্রশ্ন


“শিশুরাই সব” এর এ পর্যায়ে আমরা আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করছি।
ওয়েবসাইটে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কি ধরণের বিষয় দেখতে চান তা জানান। লেখা পড়ে, ভিডিও দেখে শেয়ার বা মন্তব্য করুন। সন্তান পালন বা শিশুসংক্রান্ত বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে জানান। আমরা উত্তর দেব।
ওয়েবসাইটে শিশুদের জন্য আপনার ভাবনাগুলো লিখে পাঠান (সর্বোচ্চ ৫০০ শব্দ)। এছাড়া নিজের বা আপনার সংস্থার ভিডিও, রিপোর্ট, অনুষ্ঠানের তথ্য ইত্যাদি শেয়ার করুন। উপযুক্ত হলে আমরা প্রকাশ করব।

যোগাযোগ