শিশুদের শারীরিক শাস্তি বিলোপের জন্য যা করতে হবে - প্রথম আলো
"শাস্তি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, বিকাশ ও শিক্ষাকে প্রভাবিত করে এবং মা-বাবা ও সন্তানের সম্পর্কের ক্ষতি করে। যারা শৈশবে শাস্তির শিকার হয়, তাদের অনেকেই বড় হওয়ার পর শিশুদের শাস্তি ও গার্হস্থ্য সহিংসতা মেনে নেয়। আমরা যদি শিশুদের শাস্তি দেওয়া বন্ধ না করি, তাহলে সমাজে নির্যাতনের চক্র ভাঙা সম্ভব হবে না।
বড়রা যখন শিশুদের কিছু শেখানোর নামে মারধর অথবা বকাবকি করেন, তখন শিশুরা শুধু শাস্তি এড়ানোর জন্যই কোনো আচরণ করতে শেখে। কিন্তু তারা এর কারণ উপলব্ধি করে না। এর ফলে পরে তারা পুনরায় একই আচরণ করে। শেখানোর কৌশল হিসেবে শাস্তি একটি অকার্যকর পদ্ধতি।
শিশুদের অধিকার রক্ষার পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশু নির্যাতন অবসানে বিশ্বকে যদি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ১৬.২ পূরণ করতে হয়, তবে শারীরিক শাস্তি বিলোপ অপরিহার্য। নিম্নলিখিত উপায়ে তা করা সম্ভব:
বাংলাদেশসহ যেসব রাষ্ট্র এখনো আইন করেনি, তাদের সব ক্ষেত্রে শিশুদের শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করে ২০৩০ সালের মধ্যে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি নীতিমালা, কর্মসূচি ও জনসচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে আইনি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা এবং এর বাস্তবায়ন যথাযথভাবে হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।
শিশুদের বিষয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এনে একটি শিশু–সংবেদনশীল সমাজ গড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
শাস্তি না দিয়ে ইতিবাচকভাবে শিশুদের বড় করা ও শিক্ষাদান সম্পর্কে মা-বাবা ও শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। পরিবার ও শিশুদের নিয়ে বা তাদের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজসেবা খাতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলোয় এ–সংক্রান্ত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
শিশুদের মতামতকে সম্মান করে শাস্তি বন্ধের প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে তাদের কথা শোনা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্ব।"
প্রথম আলো-তে প্রকাশিত লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন...
শুক্র, ১৮ জুন ২০২১, রাত ৯:৩ সময়
Login & Write Comments