কখন ও কীভাবে বিদ্যালয় খুলতে পারে - প্রথম আলো
অবিলম্বে বিদ্যালয় খুলে দেয়া হোক। শিশুদের নিরাপদে লেখাপড়া নিশ্চিত করতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষার যে ক্ষতি ইতোমধ্যে হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে আন্তরিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার কাজ করা প্রয়োজন। বিস্তারিত জানতে মনজুর আহমদ-এর লেখাটি পড়ুন।
“এই সমীক্ষার জন্য দেশের ৮টি বিভাগের ২৪টি উপজেলার ৭২টি এলাকায় জরিপ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ২ হাজার ৯৯২ জন প্রাথমিক (৪র্থ ও ৫ম শ্রেণি) ও মাধ্যমিকের (৮ম ও ৯ম শ্রেণি) শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষা কর্মকর্তা ডিসেম্বর মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে পরিচালিত এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
জরিপে যে প্রধান তথ্যগুলো আমরা পেয়েছি
১. ৭৫% শিক্ষার্থী, ৭৬% অভিভাবক, ৭৩% জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ৮০% এনজিও প্রতিনিধি দ্রুত স্কুল চালু করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
২. ৫৮% শিক্ষক ও ৫২% উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে স্কুল খুলতে চান।
৩. শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য ৬২% শিক্ষক পাঠ্যক্রম সংক্ষিপ্ত করে মূল বিষয়ে পাঠদান সমর্থন করেন। পরীক্ষায় সময় ব্যয় না করে পাঠদানে সময় দেওয়া তাঁরা সমর্থন করেন।
৪. শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের বড় অংশ (৪০ থেকে ৪৭ শতাংশ) মনে করেন, করোনার ক্ষতির প্রভাবে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির হার বাড়বে। ড্রপআউটের আশঙ্কা ও শিশুশ্রমের হারও বাড়বে।
৫. অধিকাংশ শিক্ষক ও অভিভাবক মনে করেন, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতাবিধি বজায় রাখা এবং শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব রক্ষার ব্যবস্থা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে।
৬. প্রায় ৭০% শিক্ষার্থী দূরশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেনি। ডিভাইস ও যোগাযোগের সমস্যা ছাড়াও প্রদত্ত পাঠের কার্যকারিতারও সমস্যা ছিল তাদের জন্য।
৭. ৬২% শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুল বন্ধ অবস্থায় শিক্ষক বা অন্য কারও কাছ থেকে লেখাপড়ার বিষয়ে সহায়তা পায়নি।“
মঙ্গল, ১০ আগ ২০২১, সকাল ৪:৪০ সময়
Login & Write Comments