কিশোর-কিশোরীদের স্বপ্নকে আমরা কি গুরুত্ব দিচ্ছি - প্রথম আলো
“প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে বিশ্ব ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কর্মসংস্থানসহ আমাদের সমাজের প্রায় সব ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। বর্তমানের অনেক পেশা আগামী কয়েক দশকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। নতুন পেশার সুযোগ তৈরি হবে। শিক্ষার্থীরা আজ যা শিখছে, তা চাকরির বাজারে প্রবেশের সময় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে। ভবিষ্যতে সারা জীবন ধরে একটা পেশায় থাকা অনেকের পক্ষে সম্ভব হবে না। শিক্ষাব্যবস্থা যদি শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করতে চায়, তাহলে তাদের বিশ্লেষণের ক্ষমতা, সৃজনশীলতা, দলগত কাজ, যোগাযোগ ইত্যাদির দক্ষতা বাড়াতে হবে। এর ফলে তারা দ্রুত যেকোনো বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন পেশায় যোগ দিতে পারবে। বাংলাদেশ যদি এ বিষয়গুলোকে বিবেচনা করে শিক্ষায় বিনিয়োগ না বাড়ায়, তাহলে আমরা জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়ব।
মা-বাবা এবং অভিভাবকদের গোল্ডেন জিপিএ নিয়ে এত দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দীর্ঘ মেয়াদে এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। পড়াশোনার পাশাপাশি সন্তানদের সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করুন। এটি তাদের আনন্দ দেবে এবং নিজেদের আগ্রহের বিষয়ে কাজ করতে সহায়তা করবে।
শিশুরা স্বতন্ত্র ব্যক্তি, তাদের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ ও স্বপ্ন আছে। তাদের সঙ্গে আচরণের সময় মা-বাবা, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সবার বিষয়টি মনে রাখা উচিত। মা-বাবার দায়িত্ব সন্তানদের সঠিক নির্দেশনা দেওয়া, যা তাদের সম্ভাবনার বিকাশে ভূমিকা রাখবে। মা-বাবাকে সন্তানদের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনে তাদের স্বপ্নকে সম্মান করাটা শিখতে হবে। পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার কাজটা শিক্ষকেরা করবেন।“
প্রথম আলো-তে প্রকাশিত লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন...
শনি, ১১ জুন ২০২২, রাত ১০:৪১ সময়
Login & Write Comments