শিশুদের বুঝতে দিন, এ বইমেলা তাদেরও - প্রথম আলো
“অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বলেছে, ‘বইমেলায় ছুটির দিনে শিশুপ্রহর থাকলেও সেটা খুব কম সময়ের জন্য। মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এত কম বিনোদনে চলবে? আরও কিছু যদি থাকত। এই যেমন স্থায়ী খেলাধুলার ব্যবস্থা কিংবা আনন্দ করার জন্য শিশু চত্বরের মধ্যেই স্থায়ী শিশু কর্নার। লেখকদের কাছাকাছি যাতে বড়রা যেতে পারে, তার জন্য আলাদা মঞ্চ আছে। শিশুরা কী দোষ করেছে? শিশুদের নিয়ে লেখা গল্প, ছড়া স্বয়ং লেখকদের মুখে শোনার ব্যবস্থা থাকলে কত্ত মজা হতো!’
আরও কয়েকটি সুপারিশঃ
১. মেলায় ঢুকে যে শিশুরা তাদের চত্বরে যাবে, সে রকম কোনো নির্দেশনা থাকে না। সেটা থাকা দরকার।
২. শিশুদের জন্য আলাদা পানি পান বা তাদের মাপের উপযোগী শৌচাগার ও হাত ধোয়ার বেসিনের ব্যবস্থা থাকা দরকার।
৩. যেসব প্রকাশক বড়দের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের জন্য বই প্রকাশ করেন, তাঁরা ডেডিকেটেড শিশু স্পেস রেখে স্টল বানাতে পারেন, যেখানে মা–বাবার সঙ্গে শিশুরা গিয়ে তাদের বই খুঁজতে পারবে।
৪. বড় শিশুর সঙ্গে মা যে কোলের সন্তানকে নিয়ে আসেন, তার জন্য কোনো ব্রেস্টফিডিং কর্নার থাকতে পারে।
যে বইমেলা শিশুকে আকর্ষণ করবে, সেই বইমেলা দেশকে পথ দেখাবে। একটা পড়ুয়া জাতি গড়ে তোলা হোক আমাদের সবার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে শিশুরা থাকবে সবার চিন্তায় আর কাজের প্রতিফলনে।“
প্রথম আলো-তে প্রকাশিত লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন...
রবি, ১৩ ফেব ২০২২, দুপুর ১:২৩ সময়
Login & Write Comments