শিশু সুরক্ষার মূল বিষয়গুলো বাস্তব বা অনলাইনে একই - প্রথম আলো
“অনলাইনের ক্রিয়াকলাপ বাস্তব জীবনের প্রতিফলন। কেবল প্রযুক্তির ওপর জোর না দিয়ে ইন্টারনেট যে প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা হয়, তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। যদি শিশুরা সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে বাস করে, ইতিমধ্যে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে, একাকিত্ব বা আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগে এবং মা-বাবা এবং অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্নতা বোধ করে, তবে তাদের অনলাইনে ঝুঁকির আশঙ্কা বেশি। এ ধরনের শিশুরা নির্যাতনকারীদের সহজে বিশ্বাস করে বিপদে পড়ে।
আমাদের সমাজে অনেক মা-বাবা শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন। বেশির ভাগ মনে করেন যে তাঁরা এ বিষয়ে যথেষ্ট জানেন না এবং সন্তানদের কোনো সহায়তা করতে অপারগ। আসলে অনলাইনে শিশুদের নিরাপদ রাখতে উপযুক্ত নির্দেশনা দেওয়ার জন্য মা-বাবার প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক। মা-বাবা যদি সন্তানদের সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে সময় কাটান, সক্রিয়ভাবে তাদের কথা শোনেন এবং আগ্রহের বিষয়, পছন্দ-অপছন্দ, বন্ধুবান্ধব ইত্যাদিসহ তাদের জীবন সম্পর্কে জানেন, তবে তাঁরা বাস্তব জগৎ এবং অনলাইনের জন্য সঠিক নির্দেশনা ও সহায়তা দিতে সক্ষম হবেন।
রাষ্ট্রের দায়িত্ব অনলাইনে শিশু সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি সেগুলোর বাস্তবায়ন এবং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সবার জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ।
ইন্টারনেট সেবা সরবরাহকারী, মোবাইল ফোন কোম্পানিসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পণ্য তৈরি এবং সেবাদানের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে শিশুদের সুরক্ষা বিবেচনা করতে হবে। ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা উচিত। তাঁদের শিশু-সংবেদনশীল হতে হবে।“
প্রথম আলো-তে প্রকাশিত লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন...
সোম, ২৬ জুল ২০২১, সকাল ৪:১৮ সময়
Login & Write Comments