Trends in Maternal Mortality estimates 2000-2023

বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু কমাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে; ২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই হার ৭৯% হ্রাস পেয়েছে, যা বৈশ্বিক গড়কেও ছাড়িয়ে গেছে। নারীশিক্ষা, জরুরি প্রসূতি সেবা, দক্ষ ধাত্রীর সহায়তায় প্রসব এবং একটি শক্তিশালী মিডওয়াইফারি জনশক্তিতে সরকারি বিনিয়োগের ফলে এই সাফল্য এসেছে। তবে, জাতিসংঘের একটি নতুন বৈশ্বিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, উন্নয়ন সহযোগীদের বর্তমান ও সম্ভাব্য অর্থায়ন হ্রাসের কারণে এই অগ্রগতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং বিশেষ করে দরিদ্র ও গ্রামীণ নারীদের ওপর প্রভাব ফেলবে। নিজ পকেট থেকে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়ের হার বিশ্বে সর্বোচ্চগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং অত্যাবশ্যকীয় মাতৃসেবা প্রাপ্তিকে হুমকির মুখে ফেলছে।

মাতৃমৃত্যুর প্রবণতা ২০০০ থেকে ২০২৩: WHO, UNICEF, UNFPA, World Bank group এবং UNDESA/Population Division কর্তৃক প্রাক্কলিত অর্জিত সাফল্যকে ধরে রাখতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো একটি প্রতিবেদন রচনা করেছে। এখানে তারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, মিডওয়াইফারি এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা খাতে বিনিয়োগ বজায় রাখা ও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে।

“মিডওয়াইফারি এক্সিলারেটর” চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি কৌশলগত বিনিয়োগের শক্তিকে তুলে ধরে, কিন্তু জীবন রক্ষাকারী মাতৃস্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তিতে কোনো নারী যেন পিছিয়ে না পড়েন, তা নিশ্চিত করার জন্য চলমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) ৩.১-এর লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি ১,০০,০০০ জীবিত জন্মে ৭০-এর নিচে নামিয়ে আনা। অথচ ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন গর্ভাবস্থা ও প্রসবজনিত প্রতিরোধযোগ্য কারণে ৭০০-র বেশি নারী মারা গেছেন- যার অর্থ হলো, প্রতি দুই মিনিটে প্রায় একজন নারী মারা যাচ্ছেন। এই প্রতিবেদনে ২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর আন্তর্জাতিকভাবে তুলনীয় বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং দেশীয় পর্যায়ের অনুমান ও প্রবণতা তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি ডাউনলোড করে পড়তে এখানে ক্লিক করুন। 


রবি, ২৯ জুন ২০২৫, রাত ১০:২২ সময়

মতামত/ পরামর্শ/ প্রশ্ন


“শিশুরাই সব” এর এ পর্যায়ে আমরা আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করছি।
ওয়েবসাইটে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কি ধরণের বিষয় দেখতে চান তা জানান। লেখা পড়ে, ভিডিও দেখে শেয়ার বা মন্তব্য করুন। সন্তান পালন বা শিশুসংক্রান্ত বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে জানান। আমরা উত্তর দেব।
ওয়েবসাইটে শিশুদের জন্য আপনার ভাবনাগুলো লিখে পাঠান (সর্বোচ্চ ৫০০ শব্দ)। এছাড়া নিজের বা আপনার সংস্থার ভিডিও, রিপোর্ট, অনুষ্ঠানের তথ্য ইত্যাদি শেয়ার করুন। উপযুক্ত হলে আমরা প্রকাশ করব।

যোগাযোগ