যদি কোন শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয় তাহলে তার কি ধরণের ক্ষতি হতে পারে? যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে মা-বাবা কি করতে পারেন? কিভাবে এ বিষয়ে সন্তানের সাথে আলোচনা করবেন?
শিশুদের জীবনে যৌন নিপীড়ন খুবই গুরুতর ও দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সবাই যে একভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়। বিভিন্ন শিশুর মাঝে বিভিন্ন ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। নিপীড়নের শিকার শিশুরা ভয়, উৎকণ্ঠা, অবসাদ, ক্রোধ ইত্যাদিতে ভুগতে পারে। স্কুলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি তাদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব দেখা দেয়ার আশংকা থাকে। এমনকি তাদের যৌন আচরণেও অসঙ্গতি দেখা দিতে পারে যা বয়সের সঙ্গে মানানসই নয়। অসামাজিক কাজে জড়ানো, বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া, নিজের ক্ষতি করার প্রবণতা, আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগা এবং পরবর্তীতে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে অপারগতার মতো সমস্যাও হয়।
-মা-বাবা কিংবা অভিভাবকদের উচিত শিশুদের বুঝিয়ে বলা যে, কেউ যদি শিশুর সঙ্গে এমন আচরণ করে যাতে সে অস্বস্তিবোধ করে, তাহলে সে ‘না’ বলতে পারে; এমনকি সেই ব্যক্তি যদি শিশুর কাছের কেউ হন তবুও। সেই সঙ্গে এটাও বলা প্রয়োজন যে, এমন কিছু ঘটলে শিশুরা বড়দের জানাবে।
-মা-বাবার খেয়াল করা উচিত শিশুটি কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলছে কিনা। এমন হলে তার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করতে হবে এবং কোনোভাবেই শিশুটিকে সেই ব্যক্তির সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ রাখতে বাধ্য করা যাবেনা।
-আত্মীয় বা বন্ধুদের কোলে বসা, চুমু খাওয়া কিংবা আদর করার জন্য শিশুদের জোর করা উচিত নয়।
-শিশুদের বলতে হবে, কেউ যদি গোপনে তাদের কোনো উপহার দেয় তবে সেটা পরিবারের বড়দের জানাতে এবং এই উপহারের বিনিময়ে সে কোনো কিছু করতে বাধ্য নয়।
রবি, ১৮ অক্টো ২০২০, রাত ৩:২২ সময়
Login & Write Comments