শাস্তিসহ সব ধরণের নির্যাতন থেকে শিশুদের রক্ষা করি
বাংলাদেশের মা-বাবা, শিক্ষকসহ অনেকের মাঝেই ভুল ধারণা রয়েছে যে, শারীরিক শাস্তি শিশুদের সঠিক আচরণ করতে শেখায়। কিন্তু গবেষণায় জানা যায় যে, শাস্তি দিয়ে শিশুদের কিছু সেখানো সম্ভব না। শাস্তি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে শিশুর মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামগ্রিক বিকাশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ফলে শিশুদের মধ্যে আগ্রাসী মনোভাব বেড়ে যায়; পারিবারিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শাস্তি পাওয়া শিশুরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে নিজেরাও নির্যাতন করবে অথবা নির্যাতনের শিকার হবে - এমন আশঙ্কা বেড়ে যায় । আমরা যদি শিশুদের শাস্তি দেওয়া বন্ধ না করি তাহলে সমাজে সহিংসতার চক্র ভাঙা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
বড়রা যখন শিশুদের কিছু শেখানোর নামে মারধর অথবা বকাবকি করেন তখন শিশুরা শুধু শাস্তি এড়ানোর জন্যই কোন আচরণ করতে শেখে। কিন্তু তারা এর কারণ উপলব্ধি করে না। এর ফলে পরবর্তীতে তারা পুনরায় একই আচরণ করে। বোঝাই যাচ্ছে যে, শেখানোর কৌশল হিসেবে শাস্তি একটি অকার্যকর পদ্ধতি। গত তিন দশকের বেশি সময়ের গবেষণা এবং কাজের অভিজ্ঞতায় জানা যায়, শিশুদের সঠিকভাবে বড় করার জন্য প্রয়োজন ভালবাসা এবং বয়স অনুযায়ী নির্দেশনা, শাস্তি নয়।
শিশুদের শাস্তি নিষিদ্ধের কথা বললেই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছ থেকে কিছু প্রশ্ন শুনতে হয়। সেগুলির উত্তর দেওয়ার জন্য তিনটি বুকলেট সম্বলিত একটি প্রকাশনা বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে। আগ্রহীরা এখানে ক্লিক করে সবগুলি বুকলেট ডাউনলোড করতে পারবেন।
মঙ্গল, ২২ জুন ২০২১, বিকাল ৭:২৬ সময়
Login & Write Comments