আনন্দ যেন মৃত্যু ডেকে না আনে
স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের বিনোদনের কথা চিন্তা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ পিকনিক/শিক্ষা সফরের আয়োজন করে থাকেন। কিন্তু অসাবধানতার কারণে এই নির্মল বিনোদন তাদের জন্য ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনে তা আমরা আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছি।
শিশুরা খেলবে, বেড়াবে, আনন্দ করবে, সেটা তাদের অধিকার এবং সুস্থ বিকাশের জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু তার মাত্রাটা কেমন হবে, সেটা ঠিক করে দেয়াটাও জরুরি। আমরা সকলে যদি একটু সচেতন হই এবং কিছু বিষয়ের দিকে যদি একটু নজর দিই তাহলে হয়তোবা এই ধরণের ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে পারবো।
কী করতে হবে?
-স্কুলের ছেলেমেয়েদের এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া উচিত যেখান থেকে দিনের আলো থাকতে থাকতে সবাই ফিরে আসতে পারে। এটা স্কুলের ১০ থেকে ১৫ মাইলের বাইরে হওয়া উচিত নয়।
-পরিবহনের ক্ষেত্রেও একটা নির্দিষ্ট মান রক্ষা করা উচিত। আসলে দূরে নিয়ে গেলেই যে শিশুরা উপভোগ করবে, সেটা কিন্তু ঠিক না। শিশুরা উপভোগ করে কর্মসূচি। কী কী আনন্দময় কর্মসূচি শিক্ষকরা রাখছেন সেটাই আসল। স্কুলের আশেপাশের এলাকার মধ্যেও শিশুদের একটা আনন্দময় দিন উপহার দেয়া যায়।
-শিশুদের ভ্রমণের সময় প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স এবং প্রাথমিক চিকিৎসা জ্ঞানসম্পন্ন একজন শিক্ষক অথবা প্রশিক্ষিত ব্যক্তি সাথে থাকতে হবে।
-শিক্ষকদের জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকতে হবে। গাদাগাদি করে অনেক দূরে শিশুদের নিয়ে গিয়ে নিজেদের দেশ দেখার ইচ্ছা পূরণের চেষ্টাকে অপরাধ হিসেবেই দেখতে হবে।
-পিকনিকে যাওয়ার গাড়ি ঠিক করার সময় দেখে নিতে হবে যে গাড়িটি চালাবে সে পেশাদার চালক কি না।
-সর্বোপরি সকলকে নিয়ে স্কুলের বাইরে শিশুদের নেওয়ার একটা পরিষ্কার নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। সেখানে পরিবহন, দূরত্ব, দিনের কর্মসূচি, ফিরে আসার সময় ইত্যাদি বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে এবং সেগুলো অমান্য করলে তার জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকবে। এরপরেও যদি দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে কী করতে হবে, সেটাও পরিষ্কার করে বলে দিতে হবে। জরুরি চিকিৎসা এবং রেফারেল চিকিৎসার একটা সর্বজনস্বীকৃত প্রটোকল থাকতে হবে।
সৌজন্যেঃ দুর্যোগ ফোরাম
ছবিঃ Freepik
শনি, ১১ ডিসে ২০২১, রাত ৮:৪৮ সময়
Login & Write Comments