শিশুদের মাস্ক পরা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের পরামর্শ
১২ বছর ও তার উপরের বয়সী শিশুদের বড়দের মতো মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে, বিশেষ করে যখন তাদের অন্যদের থেকে কমপক্ষে ১ মিটার দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না এবং তারা এলাকায় থাকে যেখানে ব্যাপক সংক্রমণ রয়েছে।
৬ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মাস্ক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিম্নোক্ত বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিতঃ
- শিশুটি যে এলাকায় থাকে সে এলাকায় ব্যাপক সংক্রমণ আছে কি।
- শিশুর নিরাপদে এবং যথাযথভাবে একটি মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষমতা।
- মাস্কের প্রাপ্তি, সেই সাথে নির্দিষ্ট স্থানে মাস্ক পরিষ্কার ও পরিবর্তনের সুযোগ (যেমন স্কুলে এবং শিশু যত্ন পরিষেবাসমূহ।
- প্রাপ্তবয়স্কদের পর্যাপ্ত তত্ত্বাবধান এবং শিশুকে কীভাবে মাস্ক পরতে হবে, খুলতে হবে এবং নিরাপদে মাস্ক পরতে হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা।
- পড়াশোনা এবং মনোসামাজিক উন্নয়নের উপর মাস্ক পরার সম্ভাব্য প্রভাব যা বুঝতে শিক্ষক, অভিভাবক এবং/অথবা চিকিৎসা প্রদানকারীদের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
- যেখানে শিশুটি গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকিতে থাকা কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে আসতে পারে, যেমন বৃদ্ধ ও মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে এমন ব্যক্তি।
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। এই পরামর্শটি শিশুর নিরাপত্তা, তার স্বার্থ এবং ন্যূনতম সহায়তা নিয়ে মাস্ক ব্যবহারের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে কিংবা কোন নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ৫ বছর ও তার কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পরার প্রয়োজন হতে পারে, যেমন; কোন অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা তার কাছাকাছি থাকলে। এমন পরিস্থিতিতে যদি শিশুটি মাস্ক পরে সেক্ষেত্রে মা-বাবা অথবা অন্য কোন অভিভাবককে মাস্কের ব্যবহার তদারক করতে হবে।
তথ্যসুত্রঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ছবিঃ ইউনিসেফ
শনি, ২০ নভে ২০২১, বিকাল ৬:৮ সময়
Login & Write Comments