বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য কী কী করবেন?

বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য কী কী করবেন?

ঝড়বৃষ্টির মৌসুমে বজ্রপাতে প্রতি বছর অনেক মানুষ আহত হয় এবং মারা যায়। বজ্রপাতের সময় বেশ কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে এর দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য করণীয়ঃ

-পাকা বাড়ির নীচে আশ্রয় নিন, ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা জায়গায় না থাকাই ভালো। এ অবস্থায় সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোনও দালানের নীচে আশ্রয় নিতে পারেন।

-উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকুন। বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এ সব জায়গায় যাবেন না বা কাছাকাছি থাকবেন না। বড় গাছ থেকে কমপক্ষে চার মিটার বা তের ফিট দূরে থাকা উচিৎ। ফাঁকা জায়গায় কোনও যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে। 

-বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতর থাকুন। 

-ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলুন বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলোর সংস্পর্শ এসে অনেকে আহত হন।

-বজ্রপাত বা ঝড়বৃষ্টির আভাস পেলে টিভি-ফ্রিজ, ল্যান্ডফোনের প্ল্যাগ খুলে দিন। অব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্ল্যাগ আগেই খুলে রাখুন। 

-গাড়ীতে থাকা অবস্থায় বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকলে গাড়ি কোনও গাড়িবারান্দা বা পাকা ছাউনির নীচে নিয়ে যান। এ সময় গাড়ির কাচে হাত দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। 

-বজ্রপাত অব্যাহত থাকলে সে সময় রাস্তায় বের না হওয়াই ভালো। এসময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া কাছাকাছি কোথাও বাজ পড়লে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। 

-বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। যদি একান্ত বেরোতেই হয় তাহলে রবারের গাম্বুট এ ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো কাজ করবে।

সৌজন্যেঃ দুর্যোগ ফোরাম

ছবিঃ রয়টার্স


রবি, ১৮ জুল ২০২১, রাত ১২:৩০ সময়

মতামত/ পরামর্শ/ প্রশ্ন


“শিশুরাই সব” এর এ পর্যায়ে আমরা আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করছি।
ওয়েবসাইটে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কি ধরণের বিষয় দেখতে চান তা জানান। লেখা পড়ে, ভিডিও দেখে শেয়ার বা মন্তব্য করুন। সন্তান পালন বা শিশুসংক্রান্ত বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে জানান। আমরা উত্তর দেব।
ওয়েবসাইটে শিশুদের জন্য আপনার ভাবনাগুলো লিখে পাঠান (সর্বোচ্চ ৫০০ শব্দ)। এছাড়া নিজের বা আপনার সংস্থার ভিডিও, রিপোর্ট, অনুষ্ঠানের তথ্য ইত্যাদি শেয়ার করুন। উপযুক্ত হলে আমরা প্রকাশ করব।

যোগাযোগ